০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাভারে ভূমিদস্যু ও জালিয়াতি চক্রের ভয়ে দুই যুগেরও বেশি সময় পৈতৃক ভিটেমাটি ছাড়া ভানু চন্দ্র সাহার পরিবার

প্রতিবেদকের নাম
  • আপডেটের সময়: ১১:৩১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৭৯ সময় দেখুন

সাইফুল ইসলাম দুলাল >>> সাভার বিরুলিয়া নিবাসী ভানু চন্দ্র সাহার দুইপুত্র অনিল চন্দ্র সাহা ও সুনীল চন্দ্র সাহা পরিবারসহ দুই যুগের বেশি সময় পৈত্রিক ভিটামাটি ছেড়ে বিভিন্ন জেলায় জেলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভূমি দস্যু ও জালিয়াতি চক্রের ভয়ে।

জানা যায় মিরপুর ১২, পল্লবী থানাধীন, দ্বিগুন মৌজা অবস্থিত সিএস খতিয়ান নং ৭৫৫, এসএ- ৬৮৬, আরএস- ৩৬৮, মহানগর সিটি খতিয়ান- ১৭৯৩, ভানু চন্দ্র সাহার দুই ছেলে মহানগর রেকর্ডীয় মালিক অনিল চন্দ্র সাহা ও সুনীল চন্দ্র সাহা ভূমি দস্যু ও জালিয়াত চক্রের শিকার থেকে প্রাণে বাঁচতে দুই যুগেরও বেশি ভিটে মাটি ছাড়া এই আপন দুই ভাই। একান্ত সাক্ষাৎকারে অনিল চন্দ্র সাহা বলেন, দাদা নিত্য বিহারী সাহার একমাত্র ছেলে ভানু চন্দ্র সাহা, সি এস, এস এ,ও আরএস রেকর্ডিং জমির মালিক এবং বর্তমান ঢাকা মহানগরী সিটি জরিপ রেকর্ডীয় মালিক আমরা আপন দুই ভাই অনিল চন্দ্র সাহা ও সুনীল চন্দ্র সাহা আমরা বিরুলিয়া, সাভারের বাসিন্দা। বাবার মৃত্যুর পর থেকে একশ্রেণীর প্রতারক চক্র ও জাল জালিয়াতির শিকার আমরা দুই ভাই। আমাদের নামে হিন্দু ও মুসলমান কিছু দুষ্ট প্রকৃতি ভূমি খেকো নামকরণ ও কাগজপত্র আইডি করিয়া মারাত্মক আকারে বিভিন্নভাবে আমাদেরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে এলাকাছাড়া করে রেখেছে দীর্ঘ দুই যুগ। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে আমরা ঢাকা বিভিন্ন এলাকাতে আত্মগোপন করে জীবন অতিবাহিত করতে হয়, কিছু সময় মিরপুর কিছু সময় কেরানীগঞ্জ, যশোর, খুলনা, নরসিংদী, বগুড়া সহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে বাধ্য হয়ে শত্রুদের হাত থেকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।

উত্তরা নিবাসী বিশিষ্ট শিল্পপতি আমিনুল ইসলাম বারেক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু ও সমাজসেবক মোঃ গোলাম আজম সাহেবের সাথে অনিল ও সুনীল সম্পর্কে বিস্তারিত কথা হয়, তারাও একই কথা বলেন এবং স্বীকার করেন কিছু জালিয়াতি চক্র তাদের এই সম্পত্তি গ্রাস করার পায়তারা চালাচ্ছে। ঢাকার মিরপুর-১ এর আবুল হোসেন এর সাথে কথা বলেও সকল সত্যতা পাওয়া যায়।

সুনিল বাবু বলেন, জীবন ও পৈত্রিক সম্পত্তি বাঁচানোর জন্য কোন কুল কিনারা না পেয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর ছাপায় এবং রাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করি কিন্তু তাতেও কোন সফলতা পায়নি। আমাদের পৈত্রিক জমাজমির খাজনা পরিশোধ করার জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আবেদন করলে আমাদের নামে খাজনা গ্রহনের চিঠি ইস্যু হয়, আমি অনিল চন্দ্র সাহা, পিতা ভানু চন্দ্র সাহা, মাতা-মায়া রানি সাহা, জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ১৫২৪০৮৪৪৭০, এবং সুনীল চন্দ্র সাহা জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ৩৭৭৩৬৯৭০৫১ ইস্যু হলেও কিছু জাল জালিয়াতি ভুয়া মালিকানা সেজে নাতিপুতি দেখিয়ে আপিল বিভাগে মামলা চলমান থাকাই সরকার বকেয়া রাজস্ব গ্রহণ করিতেছে না। ইহাতে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অনিল এবং সুনিল দুই ভাই বলেন আমাদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় আইন সামাজিক শৃঙ্খলার মাধ্যমে সহযোগিতা করার জন্য সরকারের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।

ট্যাগ:

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

সাভারে ভূমিদস্যু ও জালিয়াতি চক্রের ভয়ে দুই যুগেরও বেশি সময় পৈতৃক ভিটেমাটি ছাড়া ভানু চন্দ্র সাহার পরিবার

আপডেটের সময়: ১১:৩১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাইফুল ইসলাম দুলাল >>> সাভার বিরুলিয়া নিবাসী ভানু চন্দ্র সাহার দুইপুত্র অনিল চন্দ্র সাহা ও সুনীল চন্দ্র সাহা পরিবারসহ দুই যুগের বেশি সময় পৈত্রিক ভিটামাটি ছেড়ে বিভিন্ন জেলায় জেলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভূমি দস্যু ও জালিয়াতি চক্রের ভয়ে।

জানা যায় মিরপুর ১২, পল্লবী থানাধীন, দ্বিগুন মৌজা অবস্থিত সিএস খতিয়ান নং ৭৫৫, এসএ- ৬৮৬, আরএস- ৩৬৮, মহানগর সিটি খতিয়ান- ১৭৯৩, ভানু চন্দ্র সাহার দুই ছেলে মহানগর রেকর্ডীয় মালিক অনিল চন্দ্র সাহা ও সুনীল চন্দ্র সাহা ভূমি দস্যু ও জালিয়াত চক্রের শিকার থেকে প্রাণে বাঁচতে দুই যুগেরও বেশি ভিটে মাটি ছাড়া এই আপন দুই ভাই। একান্ত সাক্ষাৎকারে অনিল চন্দ্র সাহা বলেন, দাদা নিত্য বিহারী সাহার একমাত্র ছেলে ভানু চন্দ্র সাহা, সি এস, এস এ,ও আরএস রেকর্ডিং জমির মালিক এবং বর্তমান ঢাকা মহানগরী সিটি জরিপ রেকর্ডীয় মালিক আমরা আপন দুই ভাই অনিল চন্দ্র সাহা ও সুনীল চন্দ্র সাহা আমরা বিরুলিয়া, সাভারের বাসিন্দা। বাবার মৃত্যুর পর থেকে একশ্রেণীর প্রতারক চক্র ও জাল জালিয়াতির শিকার আমরা দুই ভাই। আমাদের নামে হিন্দু ও মুসলমান কিছু দুষ্ট প্রকৃতি ভূমি খেকো নামকরণ ও কাগজপত্র আইডি করিয়া মারাত্মক আকারে বিভিন্নভাবে আমাদেরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে এলাকাছাড়া করে রেখেছে দীর্ঘ দুই যুগ। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে আমরা ঢাকা বিভিন্ন এলাকাতে আত্মগোপন করে জীবন অতিবাহিত করতে হয়, কিছু সময় মিরপুর কিছু সময় কেরানীগঞ্জ, যশোর, খুলনা, নরসিংদী, বগুড়া সহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে বাধ্য হয়ে শত্রুদের হাত থেকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।

উত্তরা নিবাসী বিশিষ্ট শিল্পপতি আমিনুল ইসলাম বারেক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু ও সমাজসেবক মোঃ গোলাম আজম সাহেবের সাথে অনিল ও সুনীল সম্পর্কে বিস্তারিত কথা হয়, তারাও একই কথা বলেন এবং স্বীকার করেন কিছু জালিয়াতি চক্র তাদের এই সম্পত্তি গ্রাস করার পায়তারা চালাচ্ছে। ঢাকার মিরপুর-১ এর আবুল হোসেন এর সাথে কথা বলেও সকল সত্যতা পাওয়া যায়।

সুনিল বাবু বলেন, জীবন ও পৈত্রিক সম্পত্তি বাঁচানোর জন্য কোন কুল কিনারা না পেয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর ছাপায় এবং রাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করি কিন্তু তাতেও কোন সফলতা পায়নি। আমাদের পৈত্রিক জমাজমির খাজনা পরিশোধ করার জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আবেদন করলে আমাদের নামে খাজনা গ্রহনের চিঠি ইস্যু হয়, আমি অনিল চন্দ্র সাহা, পিতা ভানু চন্দ্র সাহা, মাতা-মায়া রানি সাহা, জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ১৫২৪০৮৪৪৭০, এবং সুনীল চন্দ্র সাহা জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ৩৭৭৩৬৯৭০৫১ ইস্যু হলেও কিছু জাল জালিয়াতি ভুয়া মালিকানা সেজে নাতিপুতি দেখিয়ে আপিল বিভাগে মামলা চলমান থাকাই সরকার বকেয়া রাজস্ব গ্রহণ করিতেছে না। ইহাতে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অনিল এবং সুনিল দুই ভাই বলেন আমাদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় আইন সামাজিক শৃঙ্খলার মাধ্যমে সহযোগিতা করার জন্য সরকারের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।