০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে নারীর আত্মহত্যা

প্রতিবেদকের নাম
  • আপডেটের সময়: ০৬:১২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৮৪ সময় দেখুন

জি এ সাজু >>> লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা দক্ষিণ হামছাদী ইয়ারপুর গ্রামের বদু চেয়ারম্যান বাড়ির পাশ্ববর্তী বাড়ির ফারজানা আক্তার ওরপে লিজা (২২) নামে এক নারী,প্রবাসী স্বামীর সাথে ফোনে ঝগড়া করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেছে স্বজনেরা।বৃহস্পতিবার ০৬ (ফেব্রুয়ারী) সকালে তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে ।

জানা যায়, নিহত লিজা সদর উপজেলা দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন ইয়ারপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের মেয়ে এবং পাশ্ববর্তী এলাকার পলাশের স্ত্রী ছিলেন। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, পলাশ এবং লিজার বিয়ে হয় আরো তিন বছর আগে।বিয়ের পর পলাশ বিদেশ চলে যাওয়ার কিছুদিন পর লিজা আরেকটি ছেলের সাথে সংসার শুরু করে। কিন্তু সেই সংসারে বেশিদিন টিকতে না পেরে লিজা আবার পলাশের কাছে আসার জন্য ফোনে কথা বলা শুরু করে। এতে পলাশ তেমন একটা পাত্তা না দেওয়াতে তাদের মাঝে মধ্যে ফোনে ঝগড়া হতো। ঘটনার দিন সকালে লিজার মা রায়পুর রাখালিয়া সু ফ্যাক্টরির কর্মী মনি বেগম তাকে ঘরে একা রেখে কাজে যোগদান করার জন্য বেরিয়ে পড়েন। এসময় পলাশ এবং লিজার ফোনে ভিডিও কলে কথা হয় একপর্যায়ে কথা কাটাকাটির মাঝে লিজা সরাসরি পলাশকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দেওয়ার প্রস্ততি নেয়। এ অবস্থা দেখতে পেয়ে পলাশ ঐ এলাকার জনপ্রতিনিধি ইউপি মেম্বার ইউসুফ হোসেনকে ফোন দেয়। ইউসুফ মেম্বার তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে এসে লিজাকে তার নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দেওয়া জুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশ লক্ষ্মীপুর মর্গে রয়েছে।

ট্যাগ:

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

লক্ষ্মীপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে নারীর আত্মহত্যা

আপডেটের সময়: ০৬:১২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জি এ সাজু >>> লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা দক্ষিণ হামছাদী ইয়ারপুর গ্রামের বদু চেয়ারম্যান বাড়ির পাশ্ববর্তী বাড়ির ফারজানা আক্তার ওরপে লিজা (২২) নামে এক নারী,প্রবাসী স্বামীর সাথে ফোনে ঝগড়া করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেছে স্বজনেরা।বৃহস্পতিবার ০৬ (ফেব্রুয়ারী) সকালে তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে ।

জানা যায়, নিহত লিজা সদর উপজেলা দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন ইয়ারপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের মেয়ে এবং পাশ্ববর্তী এলাকার পলাশের স্ত্রী ছিলেন। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, পলাশ এবং লিজার বিয়ে হয় আরো তিন বছর আগে।বিয়ের পর পলাশ বিদেশ চলে যাওয়ার কিছুদিন পর লিজা আরেকটি ছেলের সাথে সংসার শুরু করে। কিন্তু সেই সংসারে বেশিদিন টিকতে না পেরে লিজা আবার পলাশের কাছে আসার জন্য ফোনে কথা বলা শুরু করে। এতে পলাশ তেমন একটা পাত্তা না দেওয়াতে তাদের মাঝে মধ্যে ফোনে ঝগড়া হতো। ঘটনার দিন সকালে লিজার মা রায়পুর রাখালিয়া সু ফ্যাক্টরির কর্মী মনি বেগম তাকে ঘরে একা রেখে কাজে যোগদান করার জন্য বেরিয়ে পড়েন। এসময় পলাশ এবং লিজার ফোনে ভিডিও কলে কথা হয় একপর্যায়ে কথা কাটাকাটির মাঝে লিজা সরাসরি পলাশকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দেওয়ার প্রস্ততি নেয়। এ অবস্থা দেখতে পেয়ে পলাশ ঐ এলাকার জনপ্রতিনিধি ইউপি মেম্বার ইউসুফ হোসেনকে ফোন দেয়। ইউসুফ মেম্বার তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে এসে লিজাকে তার নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দেওয়া জুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশ লক্ষ্মীপুর মর্গে রয়েছে।